নারকেল গাছকে বলা হয় Tree Of Life. আমেরিকান জার্নাল অফ ইমারজেন্সি মেডিসিনে বলা হয়েছে প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্ত্রাভেনাস ডিপ(Intravenous Dip) অভাবে সংকটজনক রোগীর জন্য সাময়িক ডাবের জলকে ব্যবহার করাই যায়। অনেকে ডাবের জলকে মানব দেহের প্লাজমার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন আর সেই কারণেই এর এত কদর। জনপ্রিয়তার কারণে ডাবের জল এখন ক্যান (CAN) এবং বোতলবন্দি অবস্থাতেও পাওয়া যায়। তবে ডাবের মধ্যে পাওয়া যাওয়ার কারণে একে প্রাকৃতিক শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস বলে ধরে নেওয়া হয়। বিশেষত এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খনিজ পদার্থ থাকায় ওর কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত। সাইজ অনুযায়ী এক একটি ডাবে ২০০ থেকে হাজার মিলি লিটার পর্যন্ত জয়পাওয়া যায়।
সাধারণভাবে প্রখর রোধে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় এটি শরীরের ইলেকট্রোলাইটের মত তাৎক্ষণিক কাজ করে দেহ এবং মনকে তরতাজা করে তোলে। শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া জলের অভাব পূরণ করে, তাই ডায়ারিয়া রোগীদের এটি অন্যতম পথ্য হিসাবে চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি ১০০ মিলি লিটার ডাবের জলে মেলে ২৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম এবং ১০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম। আর পটাশিয়াম সবসময়ই রক্তচাপ এবং হাটের কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আপাতভাবে অতি সাধারণ ডাবের জলের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক প্রভৃতি খনিজ এমন মাত্রায় থাকে যা লেবু সহ বেশ কয়েকটি ফলেও থাকে না। মানুষের দেহে বেশ কিছু ঘাটতি বাইরে থেকে মেটানোর দরকার হয়ে পড়ে আর তা মিটানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। আমরা বাজার থেকে ট্যাবলেট বা সিরাপ কিনে এই ঘাটতি মেটাই।কিন্তু এক্ষেত্রেও অব্যর্থ দাওয়াই হতে পারে ডাবের জল। কারণ এটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অত্যন্ত ভালো উৎস। পরিমাণে কম হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন সি।পরীক্ষায় দেখা গেছে ডাবের জলে রয়েছে সাইটোকিনিস যা মানুষের বয়সকে কমিয়ে দেয়। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয় অ্যান্টি এজিং গুন। চর্বি জাতীয় পদার্থ না থাকায় সাহায্য করে ওজন কমাতেও। তাই ডাবের জল পান করা অত্যন্ত লাভ দায়ক।