হাঁটার নিয়ম

brisk walking

কীভাবে হাঁটবেন- – লম্বা লম্বা পা ফেলে হাঁটবেন। একে বলে ভিসক ওয়াক(Brisk walk) ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটা ভালো। তবে অনেকসময় জিয়ার্ডিয়াসিস আক্রমণের ভয় থাকে। তাই স্নিকার বা কেডস পরুন। মেশিনে হাঁটলেও স্নিকার পরবেন ভরা পেটে হাঁটবেন না। রাতে খেয়েই শুয়ে পরবেন না। হালকা হাঁটাহাঁটি করুন এবার একটু অন্য কথা বলি। বিখ্যাত যোগগুরু শিবানন্দ সরস্বতী জানিয়েছিলেন হাঁটতে হাঁটতেও প্রাণায়াম অভ্যাস করা যায়। সর্বজনে সেই প্রাণায়ামটি ভ্রমণ প্রাণায়াম নামে খ্যাত। ভ্রমণ প্রাণায়ামে শ্বাসকষ্ট কমে, মেদ কমে এবং শরীরে তরতাজা ভাব অনুভব হয়। এই প্রাণায়ামে হাঁটার সময় চার পা শ্বাস নিতে নিতে এগোন, তারপর চার পা শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে এগোন। অভ্যাস হয়ে গেলে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার সময়কাল বাড়াতে পারেন।

সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ৪৫ মিনিট হাঁটলে ভালো হয়। নিজের শরীর অনুযায়ী হাঁটার চেষ্টা করুন। কিন্তু নিয়মানুবর্তিতা থাকতেই হবে। সপ্তাহে দু’দিন হাঁটলাম, পাঁচদিন বিশ্রাম, এমনটা করলে কোনও লাভ হবে না। একটু জোরে হাঁটতে হবে। দেখবেন যেন ঘাম বের হয়। একে ব্রিকস ওয়াকিং বলে। সাধারণ হেলেদুলে হাঁটায় কোনও কাজ হবে না।

কতক্ষণ হাঁটতে হবে?

এভাবে নির্দিষ্ট করে কোনও নিয়ম বলা যায় না। তবে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলেই সুফল পাওয়া যাবে। এই ৩০ মিনিটকে আপনি দুই-তিন ভাগে ভাগ করে নিয়েও হাঁটতে পারেন। অর্থাৎ সকালে ১৫ মিনিট হাঁটলেন এবং বিকেল ১৫ মিনিট হাঁটলেন। একবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে, এমন কোন বাধা ধরা নিয়মও নেই। এবার আসি দিনের প্রশ্নে, নিয়ম করে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন হাঁটতেই হবে।

দীর্ঘদিন যাবৎ হাঁটার অভ্যাস না থাকায় অনেকেরই প্রথম দিকে সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যাকে বলে এক্সারসাইজ ডিকন্ডিশানিং। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন শরীরের পেশিগুলি কাজ না করায় ফলে নতুন করে শুরুর সময় কষ্ট হয়। মনে হয় আর হাঁটা যাচ্ছে না, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ইত্যাদি।

এমন সময় হাল ছেড়ে দেবেন না। পরিবর্তে প্রথমদিকে বেশি চেষ্টা না করাই ভালো। ধীরে ধীরে অভ্যাস তৈরি করুন। হাঁটার আগে অবশ্যই হালকা কিছু খেয়ে নেবেন। ইতিমধ্যেই হার্টের অসুখ থাকলে সঙ্গে অবশ্যই আইসোসরবাইড ডিনাইট্রেট এবং জল রাখবেন। হাঁটতে হাঁটতে খুব বেশি হাঁপ লাগলে একটু দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিন, জল পান করুন।

এগুলিতে কাজ না হলে, জিভের তলায় সরবিট্রেট ওষুধটি দিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে হার্টের অসুখ থাকলে হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

হাঁটার ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা অবলম্বন। করা দরকার?

সেভাবে বলতে গেলে হাঁটার সেরকম কোনও সতর্কতা নেই বললেই চলে। তবে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখা উচিত— ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প কিছু খেয়ে নিয়ে হাঁটতে বের হন। খালি পেটে একদমই হাঁটা যাবে না • হাঁটতে গেলে অবশ্যই গ্লুকোজ সঙ্গে নিয়ে বেরবেন। কোনও কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে (সুগার ফল বা হাইপোগ্লাইকেমিয়া) এই গ্লুকোজ পরিত্রাতার ভূমিকা নেবে হাঁটার সময় অবশ্যই জলের বোতল সঙ্গে রাখুন।