চিকিৎসকরা বলছেন, এই ১০টি খাবার শরীরে বাড়তি এনার্জিও জোগাতে সাহায্য করে, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হাড়াই।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/garlic.jpg)
১. রসুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রথমেই যে উদ্ভিজ খাবারটির নাম আসে, তা হল রসুন। ডাক্তারদের মতে, নিয়মিত রসুন খেলে কোনও রোগই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। কারণ রসুনে থাকে অ্যালিসিন। রক্তে সাদা শ্বেতকণিকার কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে দেয় অ্যালিসিন। যে কোনও কোল্ড অ্যান্ড ফ্লু ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেয়। এহাড়াও ভাইরাল, ফাংগাল ও ব্যাক্টেরিয়াজনীত সংক্রমণকে রুখতে সাহায্য করে রসুন। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রসুন খেলে ভাইরাল স্বর, সর্দি, কাশি থেকে ১০০ শতাংশ মুক্তি পাওয়া যায়। রান্না করা খাবার হাড়া প্রতিদিন এক কোয়া রসুন ট্যাবলেটের মতো জল দিয়ে গিলে খেতে পারলে, সর্দি, কাশি, স্বর আপনাকে কাবু করতে পারবে না।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/onion-1.jpg)
২. পেঁয়াজ
রসুনের মতো পেঁয়াজেও থাকে অ্যালিসিন নামক পদার্থটি। এছাড়াও থাকে কোয়ারসেটিন, যা মাথায় ও বুকে জমে থাকা মিউকাস ভেঙে দেয়, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া এনার্জি বাড়াতেও পেঁয়াজের জুড়ি নেই। কারণ পেঁয়াজ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে শরীরে এমন একটি উষ্ণতা বজায় রাখে, যার ফলে সর্দি, জ্বর হয় না। এমনকি ভাবতে অবাক লাগলেও সত্যি, রাতে ঘুমনোর সময় অর্ধেক পেঁয়াজ কেটে ঘরের এক কোণে রাখলে, শোওয়ার ঘুরে বেড়ানো কিছু ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয় ওই পেঁয়াজ।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/ginger.jpg)
৩. আদা
কথায় বলে, ‘আদা-জল খেয়ে কাজে লেগে পড়া’। বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটি অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। কারণ মানবদেহে আদার রসের উপকারিতা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা একবাক্যে স্বীকার করেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বুকে সর্দি বসতে দেয় না। আদার রস। একই সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনও বাড়িয়ে দেয়। আর রক্ত সঞ্চালন বাড়লেই শরীরে অক্সিজেনের জোগান বাড়ে। দেহ থাকে চনমনে। যে কোনও ফ্লু-কেই রুখে দেয় আদা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গায়ে স্বর স্বর ভাব, দুর্বলতা অনুভব করলেই, ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশিই নিয়মিত আদার রস দিয়ে চা খেলে উপকার নিশ্চিত। খআনিকটা আদা কুচিয়ে একটি পাত্রে জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জলটি গরম করুন। ওই জলে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার চা পাতা দিয়ে গরম করে, হেঁকে ওই জল খেলে এনার্জি বাড়ে।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/red-chilli.jpg)
৪. লঙ্কা
যাঁরা একেবারেই ঝাল খেতে পারেন না, তাঁদেরও দিনে অন্তত একবার কোনও ভাবে লঙ্কা খাওয়া উচিত। কারণ লঙ্কায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বায়োফ্লেভনয়েডস। থাকে। সর্দি, ফ্লু-কে রুখে দিতে লঙ্কাগুঁড়ো বা লঙ্কা (শুকনো, কাঁচা) অসাধারণ কাজ দেয়। ঠান্ডা লাগলে গরমজলে অল্প লঙ্কা গুঁড়ো ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলেই অল্প সময়েই ফল পাবেন।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/pumpkin-1.jpg)
৫. কুমড়ো
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন থাকে কুমড়োয়। ক্যানসার রুখতে কুমড়োর অসাধারণ উপকারিতা প্রমাণিত। এহাড়াও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখ ও ত্বককে রক্ষা করে। একই সঙ্গে হৃদরোগকেও দূরে সরিয়ে দেয়।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/cauliflower-1.jpg)
৬. কপির পাতা
নানা শাকের মতো কপির পাতাতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। কপিরপাতা রক্তের শ্বেতকণিকায় থাকা অবাঞ্ছিত ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে দেয়। তাই স্যালাডে বা সেদ্ধ করে কপির পাতা নিয়ম করে খেতে পারলেই কেল্লা ফতে!
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/lemon-jest-1.jpg)
৭. লেবুর খোসা
যে কোনও লেবু যে কোনও ধরনের লেবুই মানবদেহে অপরিহার্য। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, লেবুর খোসাও ফেলা ঠিক নয়। পুরো ফলটাই উপকারী।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/green-tea.jpg)
৮. গ্রিন টি
সুস্থ থাকতে গ্রিন টি-ও অসাধারণ কাজ করে। চিকিৎসকরা বলছেন, রোজ সকালে এক কাপ গ্রিন টি-তে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারলে, এনার্জিও বাড়ে। একই সঙ্গে স্কুল ব্যক্তিদের রোগা হতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টি -তে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারলে, এনার্জিও বাড়ে। একই সঙ্গে স্থুল ব্যাক্তিদের রোগা হতেও সাহায্য করে।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/miso-soup.jpg)
৯. মিসো স্যুপ
নামটা শুনে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। চিকেন-নুডল স্যুপেরই উদ্ভিজ রূপ হল মিসো স্যুপ। এই স্যুপ হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। অবাঞ্ছিত ব্যাক্টেরিয়াকেও ধ্বংস করে দেয়।
![](https://thehealthytalk.com/wp-content/uploads/2024/02/mushroom-1.jpg)
১০. মাশসরুম(ছত্রাক)
কয়েক শতক বহুর ধরেই সুস্থ থাকতে ছত্রাকের শরণাপন্ন হয়ে মানুষ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শ্বেতকণিকার উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে হত্রাক। রক্তকণিকার কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে দেয়।