শাকটি বায়ু-পিত্ত-কফ তিনটি ধাতুরই বৃদ্ধি করতে পারে। স্বাদে মধুর, কটু, লবণ ও ঈযৎ ক্ষারধর্মী। স্বভাবে রুক্ষ, উষ্ণ, গুরুপাক ও তীক্ষ্ণবীর্য। এজন্য আয়ুর্বেদ মতে এটি নিকৃষ্ট শাক। তা সত্ত্বেও আয়ুর্বেদের গবেষণা থেমে থাকেনি। সেখানে বলা হয়েছে-এটি মূত্রবর্ধক এবং শ্বাস, কাশ, রক্তহীনতা, উন্মাদ, বিঝঁঝি বাত, স্নায়ু সংকোচ, মাড়ির ক্ষত প্রভৃতি সারাতে পারে।
সরযে শাক সহজে উৎপন্ন করা যায়।টবে দানা ফেলেও চাষ করা যেতে পারে। সরযে শাক ভালোভাবে ধুয়ে কেটে হালকা ভাপিয়ে জল ফেলে দিয়ে রান্না করা দরকার। শাকটিতে অক্সালিক অ্যাসিড থাকে, সিদ্ধ করে জল ফেলে দিয়ে অনেকটা দোষ কেটে যায়। শাকের সঙ্গে আলু ও বেগুন মিশিয়ে রান্না করলে উপাদেয় খাদ্য হয়ে ওঠে। আধুনিক গবেষণায় জানা যায়-সরষে শাক এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে আছে ফ্লেভোনয়েডস, সালফোরাফেল, ক্যারোটিন, ইনভোলস, লিউটিন, ডাই ইনডোলিন, ফলিক অ্যাসিড প্রভৃতি। ফলে-প্রক্টেট, ব্রেস্ট, কোলন এবং ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরেসিস ইত্যাদি দমনেও এই শাকের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রক্তহীনতা, কাশি প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরষে শাকের ভূমিকা রয়েছে। তবে শাকটি নিয়মিত খাওয়া দরকার। তবে পেটে যাতে বায়ু না জমে সেদিকেও লক্ষ রাখা উচিত।