মেথি শাক – আমরা কিভাবে উপকৃত ?

মেথি শাক এসেছে ইউরোপ ও ইথিওপিয়া থেকে। বর্তমানে এটি আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একটি শাক।

শাকটি যকৃতের ক্রিয়াবর্ধক, প্লিহা ও যকৃতের বৃদ্ধিকে নষ্ট করে, রুচিকর, হজমকারক, মাসিক স্রাব বৃদ্ধি করে, হাত-পা’র ফোলা কমায়। এটি অজীর্ণ, পেট ফাঁপা, জন্ডিস, আমাশা, মুখের ঘা, চর্মরোগ, রক্তহীনতা, ডায়াবেটিস, সর্দি, দূর্বলতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে উপকারী। শারীরিক ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষায় ও সুগারের রোগীদের পথ্য হিসেবে মেথি শাকের ভূমিকা অতুলনীয়। প্রথম মাসিকের সময় মেয়েদের বয়স কম থাকে, সে সময় শরীর রুগ্ন থাকলে ও রক্তহীনতা দেখা দিলে মেথি শাক হাল্কা ভেজে বা তরকারি করে প্রত্যহ কিছুদিন খেলে উপকার পাবে। এটি খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মেথি পাতা বাটা মুখে ও মাথায় লাগালে মুখের সৌন্দর্য বজায় থাকে এবং চুল ঘন ও লম্বা হয়, সৌন্দর্য বাড়ে। শাকটি মূত্রকারক গুণ- সম্পন্ন এবং মূত্রপাথুরী ও ইন্দ্রিয়দৌর্বল্য নষ্ট করে। মেথি শাক ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং ক্যান্সারের কেমোথেরাপি রোগীদের পথ্য হিসেবে খুবই উপকারী। এছাড়া সূর্যালোকের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে।

মেথি শাকে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম, ক্যারোটিন, আয়রন ও প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। আলু-বেগুন- বড়ি দিয়ে নেথি শাকের চচ্চড়ি উপাদেয় খাদ্য, সেইসঙ্গে ঔষধও।