মায়ের রান্নাঘর থেকে ত্বকের সৌন্দর্য

home beauty tips

বাঙালীরা সবসময় ফর্সা হওয়ার জন্য কত কিছুই করে । সব বাঙালি নারী ফর্সা নয়, তবে কেউ কেউ খুব ফর্সা। অনেকেই উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক ব্লিচ এবং ক্রিম ব্যবহার করে ফেলেন অজান্তে। তাতে হিতে বিপরীত হয়, ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে। লক্ষ্য করলে আপনি জানতে পারবেন যে ‘মা’ দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। তাঁরা সংসার চালানোর পাশাপাশি রান্নাঘর থেকে সরাসরি ত্বকের যত্নের রেসিপিগুলি হস্তান্তর সহ পরিবারের সুস্থতার প্রতিটি দিকে খেয়াল রাখেন।

মা তাঁর মেয়ের সৌন্দর্যের জন্য রান্না ঘরের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কীভাবে  ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন এখানে তার কিছু নমুনা

হলুদ: দইয়ের সাথে হলুদ মেশালে এটি ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে, কারণ এর মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

বেসন: ত্বককে পরিষ্কার করে এবং খুব নরম আর তুলতুলে করে তোলে, জল বা দই মেশানো বেসন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত।

মালাই: ত্বক ময়েশ্চার করার জন্য মালাই এর জুড়ি মেলা ভার। মালাই এর ভারী ক্রিম ত্বককে ময়েশ্চারাইজ ও হালকা করে,  শুষ্ক ত্বক এবং শীতের জন্য মালাই খুবই চমৎকার।

দই: সাধারণত টক দই ত্বককে এক্সফোলিয়েট এবং হালকা করে। টকদই সব ধরনের ত্বকের জন্যই চমৎকার। সবধরণের ফেসপ্যাকে টকদই মেশানো যায়।  

গোলাপজল : গোলাপজল টোনিংয়ের জন্য খুবই চমৎকার। এই গোলাপজল প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে ত্বককে সুন্দর করে তোলে।

মুলতানি মাটি: মুলতানি মাটি বেশিরভাগ গ্রীষ্মকালীন ফেস প্যাকের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। বিশেষ করে তেল-নিয়ন্ত্রণের জন্য অর্থাৎ যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাদের জন্য খুবই ভাল এই মুলতানি মাটি।

চন্দন: গোলাপজলের সাথে চন্দন মিশিয়ে গ্রীষ্মে ব্রণ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই চন্দন মুখের সৌন্দর্যের জন্য উপকারী। দাগ-ছোপ-হীন ত্বকের জন্য চন্দনের ব্যবহার সবারই জানা।

মধু: খুব শুষ্ক ত্বককে আলতো করে ময়েশ্চারাইজ করে মধু, মধু শীতের জন্য আদর্শ। ত্বকের লাবন্য বাড়াতে মধুর জুড়ি মেলা ভার।

লেবুর রস: গ্রীষ্মকালীন ত্বককে সুন্দর করে লেবু। প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ডি-টান করে লেবু। লেবু  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আদর্শ।

নিম: ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং শুষ্ক ত্বকের প্রতিকারের জন্য নিমপাতা থাকা আবশ্যক। নিমপাতা ব্রণের দাগ কমায়, এমনকি বলিরেখা রোধ করতে ও সাহায্য করে।